কুমিল্ললার মুরাদনগরে রত্না আক্তার (১৯) এর গর্ভ আলোকিত করে প্রথম সন্তান মেয়ে জন্ম নেই। মেয়ে সন্তান হওয়ায় জন্মের ১৮ দিন পরে মেয়ে বাচ্চা কে হত্যা করে খালে ফেলে দিলেন রত্না আক্তার। ঘটনার এক দিন পরে শুুুক্রবা র ১৩ আগস্ট মুরাদনগর উপজেলার বাইরা গ্রামের খাল থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। উক্ত ঘটনায় মা রত্না আক্তার কে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত শিশুটির নাম রাখা হয়েছিল রাবেয়া আক্তার। রাবেয়া আক্তারের বাবা কাতার প্রবাসী। উক্ত ঘটনায় নিহত শিশুর দাদা বাঙ্গরা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
নিহত হওয়া শিশুটির দাদ বাচ্চু মিয়া বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে একটি জমিতে কাজ করতে যায়। হঠাৎ বাচ্চার মা রত্নার কান্না শুনতে পাই, শিশু রাবেয়া কে খুঁজে পাচ্ছে না। পরে সবাই মিলে খুঁজার পর যখন রাবেয়া কে না পাই, তখন বাঙ্গরা থানায় একটি জিডি করি।
পরের দিন শুক্রবারে বাড়ির পাশে একটি খালে লাশ দেখে, পুলিশ কে খবর দেয়। পুলিশ এসে লাশ এসে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
উক্ত ঘটনায় বাঙ্গরা থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, নিহতের মা রত্না আক্তার আমাদের কাছে হত্যার দায় স্বীকার করেছে। প্রথম কন্যা সন্তান হওয়ায় তাকে সবার আড়ালে খালে ফেলে দেয়।