পারিবারিক বিরোধের জের ধরে কুুুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার শাহপাড়া গ্রামে আপন ভাতিজী কে গলা কেটে হত্যা করেছে তার ফুফু। বাড়ির পাশেই ফুফুর বাড়ি। ফুফু জোহরা খাতুনের বাড়ীতে শিশু টি বৃৃৃহস্পতিবার১২ আগস্ট খেলতে গেলে,তাকে মাংস দেওয়ার কথা বলে রান্নাঘরে নিয়ে যায়। পরে বটি দা দিয়ে কলা কেটে হত্যা করে শিশুটি কে ফুুুফু জহুরা খাতুন। লাশ ধামাচাপা দিতে বাজারের ব্যাগে ভরে ধানক্ষেতে ফেলে দেয়।
খুন হওয়া জান্নাতুল ফেরদৌস জান্নাত কুষ্টিয়াজেলার শাহপুর গ্রামের জাহিদুল ইসলামের মেয়ে। জাহিদুল ইসলামের আপন বোন জহুরা খাতুন। জহুরা খাতুন কে একই গ্রামে আনিরুল ইসলামের কাছে বিয়ে দেওয়া হয়।
কুষ্টিয়ার এসপি খায়রুল বলেন, উক্ত ঘটনার দায় স্বীকার করেছেন জহুরা খাতুন। তাকে আটক করা হয়েছে। সেই সাথে যে বটি দিয়ে হত্যা করা হয়েছে শিশুটি কে,সেই বটি দা ও জব্দ করেছে পুলিশ।
তিনি আরও বলেন, পারিবারিক বিরোধের জের ধরে,জহুরা খাতুন কে বাড়ি থেকে বের করে দেয়,শিশুটির মা আখি বেগম। তারপর থেকে শুরু হয় ঝগড়া। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ভাতিজী কে গলা কেটে হত্যা করেন জহুরা বেগম।
রাতে ৯৯৯ ফোন পেয়ে মিরপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটির লাশ মর্গে পাঠায়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরও দুজনকে আটক করা হয়। এই ঘটনায় শিশুটির বাবা মিরপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।