গলাকাটা শিশু সায়মন(৯) কে তার নিজের বাবা বাদল মিয়া হত্যা করেছে। পুুুুলিশের কাছে স্বিকারোক্তি দিয়েছেন, শিশুটির বাবা বাদল মিয়া। তিনি গত ২৪ জুলাই শনিবার ঘাস কাটার কথা বলে বাড়ি থেকে শিশুটিকে নিয়ে যায়।
মাদ্রাসায় পড়া সেই শিশুটিকে ধানের জমি তে বাবা বাদল মিয়া হত্যা করে ফেলে রখে, বাড়িতে গিয়ে আবার বাবা নিজেই খোঁজ করে তার সন্তান সায়মন কোথায়। পরে বাড়ির পার্শবতী এক ধানের জমি থেকে শিশুর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে।
বাবা বাদল মিয়ার কথায় সন্দেহজনক মনে হলে, পুলিশ তাকে আটক করেন। প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞেস করলে, তিনি হত্যার দায় স্বীকার করেন। হত্যার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই সন্তান আমার ছিল না। আমার স্ত্রী মিলি বেগম পরকীয়া করে এই সন্তান জন্ম দেয়।
তিনি আরও বলেন, ২০১২ সালে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর ছয় মাস ছুটিতে থেকে তিনি সৌদি আরব চলে যান। তখন তার স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা ছিল না। প্রবাসে যাওয়ার পর তার স্ত্রীর গর্ভে এই সন্তান জন্ম নেই। এই সন্তান ছাড়াও বাদল মিয়ার আরও দুই ছেলে আছে। শিশু সায়মন বাকি দুই ভাই এর সাথে এতো একটা মিলে মিশে থাকতো না। তাহার আচার-আচরণ বাকী ভাইদের সাথে মিলতো না। সন্দেহের জের ধরেই বাবা তার সন্তান কে গলাকেটে হত্যা করেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা মোহাম্মদ শাহিন জানান, বাদলের ধারণা ছিল সায়মন তার সন্তান না। তাই তিনি হত্যা করেছেন। এই ঘটনায় স্ত্রী মিলি আক্তার সদর মডেল থানায় মামলা করলে, আদালতে বাদল মিয়া হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করে।