নেত্রকোনা সদর উপজেলার দক্ষিণ দুগিয়া গ্রামে বাস করেন আবদুল জব্বার (৭০) এবং তার স্ত্রী রাজু আক্তার(৬৫)। আবদুল জব্বারের ৭ ছেলে ও ২ মেয়ে। তারা সবাই কর্মক্ষম। ঢাকা শহরে রিকশা চালয় সন্তানেরা। কিন্তু কেউ এই বৃদ্ধ দম্পতির খোজ খবর নেই না। তাই বাধ্য হয়ে বৃদ্ধ আবদুল জব্বার ফেরি করে গ্রামে গ্রামে বিক্রি করেন চানাচুর,বুুুট ইত্যাদি।
শুধু তিনি ফেরি করেন না। সারাদিন ফেরি করে ঘরে এসে রান্নাবান্না এবং অসুস্থ স্ত্রীর সেবা করতে হয়। তার স্ত্রী রাজু আক্তার একজন প্রতিবন্ধি। সে চলাফেরা করতে পারে না।
খবর নিয়ে জানা যায়, মাত্র ০৪ শতক জায়গায় ছোট একটি ঘর। তাও জঙ্গলের ভেতরে। একটু বৃষ্টি আসলে ঘরের চালের ছিদ্র দিয়ে পানি পরে। খুব কষ্ট কাটে তাদের জীবন।
স্থানীয় সেচ্ছাসেবী তরুণ মাসূদ বলেন, আবদুল জব্বারের নয় ছেলে মেয়ে সবাই খুব ভালো অবস্থানে আছে। তারা কেউ দেখাশোনা করে না। কোন প্রকার খরচ বহন করে না।
সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তার জানান, সরকার মা বাবা কে ভরনপোষণ করার জন্য আইন করেছে।
যদি তার সন্তানেরা দেখাশোনা না করে থাকে, তাহলে আইনের আওতায় আনা হবে। এই বৃদ্ধের ঘর না থাকলে আমরা ঘরের ব্যবস্থা করে দেব।