ফেনির পরশুরামের সাতকুুুচিয়া গ্রামে চৌধুরী বাড়ির আবুল হাসেম মিয়ার বড় ছেলে লিখন আহমেদের স্ত্রী কে মধ্য যোগীয় কায়দায় নির্যাতন করে শশুুর বাড়ীর লোকজন। তাকে যৌতুকের জন্য অনেক দিন ধরে তার শাশুড়ী,ননদ,দেবর অত্যাচার করে আসছিল।
তাকে মেরে ফেলার জন্য শাশুড়ী, দেবর,ননদ মিলে সাপ এনে, মুরগীর খোয়ারে রেখে দেয়। গত ০৭-০৮-২০২১ তারিখে তাকে সাপ দিয়ে দংশন করিয়ে অজ্ঞান করে ফেলে। গ্রাম্য উজার মাধ্যমে তাকে সাপ দিয়ে দংশন করায়। সাপ দিয়ে দংশন করানোর পরও,তাকে ডাক্তারের কাছে নেওয়া হয় নি।
এই ঘটনায় নির্যাতীত মেয়ের মা খবর পেয়ে, মেয়ে কে ফেনি সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে, তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসা দেওয়ার পর কিছুটা সুস্থ্য হলেও সে বোবা হয়ে যায়। তার শশুর বাড়ীর লোকজন কেউ তার খরচ বহন করে নি। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানায়,সাপের বিশের কারণে সে আর কোন দিন কথা বলতে পারবে না।
হাসপাতাল থেকে নয় দিন পরে তাকে বাড়ীতে আনলে, তার শশুর বাড়ীর লোকজন সন্ত্রাস নিয়ে এসে মেয়ের বাবার বাড়িতে হামলা দেয়। মেয়েকে নিয়ে যেতে অনেক চেষ্টা করে।
পরে পাড়াপড়শি তাদের হাত থেকে রক্ষা করে তাকে।
এই ঘটনায় নির্যাতীত মেয়ের মা বলেন, মেয়ে কে সাপ দিয়ে দংশন করায় শশুর বাড়ীর লোকজন। যৌতুকের জন্য মেয়েটার সাথে তারা এমন করে। হাসপাতাল থেকে বাড়ীতে আনার পর, আমাদের বাড়িতে তারা হামলা দেয়। পরে আশেপাশের লোকজন আমার মেয়ে কে উদ্ধার করে।